বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
প্রকাশিত : ১৭:৩৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:০১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয়করণের দাবিতে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করা বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে তাদের আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় শিক্ষকরা পিছিয়ে আবার প্রেসক্লাবের সামনে চলে আসেন।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় হাজারখানেক শিক্ষক এই বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের দাবি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয়করণ বঞ্চিত অনধিক ৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্রুত জাতীয়করণ করতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল। তখন ৩০ হাজারের বেশি বিদ্যালয় থাকলেও রাজনৈতিক কারণে প্রায় ৫ হাজার বিদ্যালয় বাদ পড়ে। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে একাধিক সরকারি চিঠি ইস্যু করা হলেও জাতীয়করণ কার্যকর হয়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. নওশাদ আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি ও কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয়করণ বঞ্চিত অনধিক ৫ হাজার বেসরকারি বিদ্যালয় দ্রুত জাতীয়করণ করতে হবে।’
সংগঠনের সমন্বয়ক মাহবুবা মালা বলেন, ‘জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যের শিশুকে পাঠদান করলেও নিজেদের ভাগ্যের উন্নতি হয়নি।’
সমন্বয়ক অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই বিদ্যালয়গুলো সুকৌশলে জাতীয়করণের বাইরে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাই।’
সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম (বগুড়া) বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আমরা শুধু আশ্বাস পেয়েছি, বাস্তবে কিছু পাইনি। এবার প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান আশা করছি।’
এএইচ
আরও পড়ুন